শিক্ষাগুরু ও ছাত্রসমাজ
ভারতবর্ষ মুনিঋষিদের দেশ। প্রাচীনকাল থেকে মুনিঋষিরা ভারতে প্রকৃত শিক্ষাগুরুর ভূমিকা পালন করে আসছেন। প্রাচীন গুরুকুলের সময় থেকে আধুনিক কালের প্রযুক্তি নির্ভর শ্রেণিকোঠা পর্যন্ত শিক্ষাগুরুরা সার্বিকভাবে তাঁদের ছাত্র - ছাত্রীদের চারিত্রিক, মানসিক ও শৈক্ষিক উত্তরণের পথে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন। এই চলার পথে শিক্ষকরাও যুগের ও সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে নিজেদের ভূমিকাকে পরিবর্তিত ও পরিবর্ধিত করে আসছেন। একজন শিক্ষকের এই পরিবর্তিত স্বরূপ তাঁর ছাত্র - ছাত্রীদের শৈক্ষিক জ্ঞানবৃদ্ধির পরিসর থেকে বের করে তাদের যুগোপযোগী ও সময়োপযোগী পরিস্থিতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে সাহায্য করে যাতে তারা ভবিষ্যৎ জীবনে সমস্ত নীচতা, ভয়, অজ্ঞানতা ও কুসংস্কারের পরাধীনতা থেকে মুক্ত হয়ে জীবনে যথার্থভাবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। এই শিক্ষাদানের সার্থকতা ছাত্রসমাজের সার্বিক উন্নতির মাধ্যমেই প্রতিফলিত হয়।
সাম্প্রতিক কালে ছাত্রসমাজের অস্থিরতা ও অসহিষ্ণুতার যেসব দৃষ্টান্ত আমরা দেখতে পাচ্ছি সেগুলো অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। এক্ষেত্রে শিক্ষাগুরুদের দায়িত্ব সেই সমস্ত অশুভ প্রবণতাকে অতিক্রম করে তাদের সঠিক দিকে পরিচালিত করা। সেই প্রচেষ্টাই দেশ ও জনগণের উন্নতিকল্পে এক নতুন অধ্যায় রচনা করবে। তদুপরি বর্তমানের মহামারী জর্জরিত পরিস্থিতি ছাত্রসমাজের মনে হয়তো অবসাদ সৃষ্টি করতে পারে। ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গীতে সেই পরিস্থিতির মোকাবিলা করে বিজয়ী হতে সাহায্য করতে একজন শিক্ষকের ভূমিকা যথেষ্টই গুরুত্বপূর্ণ।
পরিশেষে দেশের সর্বাঙ্গীন উন্নতি, সমাজ ও জাতি গঠনের কর্মে নিয়োজিত শিক্ষাগুরুদের নিরলস প্রচেষ্টা ও ত্যাগস্বীকারকে জানাই প্রণাম ও আন্তরিক অভিনন্দন।
*****************************
সহকারী শিক্ষয়িত্ৰী
আমিনগাঁও বেঙ্গলী প্রাথমিক বিদ্যালয়
শিক্ষাখন্ড- কররা