বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস
কোনো ব্যক্তির শরীরের কোন অংশ যখন স্বাভাবিক ভাবে কাজ করে না তখন আমরা তাকে প্রতিবন্ধী বলি। প্রতিবন্ধী বিভিন্ন ধরনের হতে পারে যেমন, বাক প্রতিবন্ধী, শ্রবণ প্রতিবন্ধী, মানসিক প্রতিবন্ধী, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, বুদ্ধি প্রতিবন্ধী, শারীরিক প্রতিবন্ধী ইত্যাদি।
১৯৯২সাল থেকে প্রতি বৎসর 3 ডিসেম্বর' বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস' হিসেবে পালন করা হয়।শারীরিকভাবে অসম্পূর্ণ মানুষদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া ও তাদের কর্মকাণ্ডের প্রতি সম্মান জানানোর উদ্দেশ্যেই এই দিবসটি পালন করা হয়।
এই বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবসের পিছনে আছে এক দুঃখজনক ঘটনা।১৯৫৮ সালের মার্চ মাসে বেলজিয়ামে এক ভয়াবহ খনি দুর্ঘটনায় বহু মানুষের মৃত্যু হয় এবং সহস্ৰাধিক মানুষ চিরজীবনের মতো প্রতিবন্ধী হয়ে পড়েন। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৫৯ সালে জুরিখে এক আন্তৰ্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এই সম্মেলনে প্রতিবন্ধকতা সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্যের পর্যালোচনা করা হয় এবং প্রতিবন্ধীদের কল্যাণের জন্য বেশ কিছু প্রস্তাব ও কর্মসূচি গৃহীত হয়। তখন থেকেই কালক্রমে সমগ্র বিশ্বে প্রতিবন্ধী মানুষদের প্রতি এক সজাগতার সৃষ্টি হয়।
বিশ্ব
স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) প্রকাশিত "International Classification of
Impairment, Disability and Handicap ( ICIDH)" শীর্ষক প্রকাশনায়
প্রতিবন্ধী সমস্যাকে তিনটি শ্রেণীতে ভাগ করা হয়েছে,যেমন ১,দুর্বলতা (Impairment),
২.অক্ষমতা (Disability), ৩. প্রতিবন্ধী (handicap)।
প্রতিবন্ধীরা আমাদের সমাজেরই অংশ।উপযুক্ত চিকিৎসা ,শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও
সহায়তা পেলে তারাও নিজেদের মেধা ও যোগ্যতা দিয়ে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের
অবদান রাখতে সক্ষম।দেশের উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে তাদের দক্ষতা ও সৃজনশীলতাকে
যথাযথভাবে কাজে লাগাতে হবে। প্রতিবন্ধীরা জাতির বোঝা নয়, তারাও জাতির
সম্পদ।আমাদের উচিত তাদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া যাতে তারা সমস্ত
প্রতিকূলতাকে অতিক্ৰম করে জীবনে সাফল্যের পথে এগিয়ে যেতে পারে।
তথ্যসূত্র - উইকিপিডিয়া
অনুপমা পাল দাস
সহকারী
শিক্ষয়িত্ৰী
আমিনগাঁও বেঙ্গলি
প্রাথমিক বিদ্যালয়
শিক্ষাখন্ড - কররা
অলংকৰণ :- সংগীতা কাকতি
0 Comments